Type Here to Get Search Results !

Madhyamik Suggestion Bengali 2026 | আফ্রিকা - কবিতার সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর 2026

1

আফ্রিকা
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আফ্রিকা কবিতা মাধ্যমিক সাজেশন ২০২৬ - ঘন অরণ্যময় আফ্রিকা ও সাম্রাজ্যবাদী অত্যাচারের চিত্র।

কবিতাটির উৎস ঃ 'পত্রপুট' কাব্যগ্রন্থ। কবি অমিয় চক্রবর্তীর অনুরোধে কবিগুরু এই কবিতা লিখেছিলেন।
এই আর্টিকেলে রয়েছে 'আফ্রিকা' কবিতার সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ MCQ, SAQ, LAQ type প্রশ্ন, উত্তরসহ।

MCQ [প্রশ্নমান ১]

১. 'কালো ঘোমটার নিচে অপরিচিত ছিল'-কী অপরিচিত ছিল? [মাধ্যমিক ২২]
(ক) তোমার চেতনাতীত রূপ
(খ) তোমার রহস্যময় রূপ
(গ) তোমার আরণ্যক রূপ
(ঘ) তোমার মানব রূপ
উত্তর-(ঘ)

২. আদিম যুগে স্রষ্টার কার প্রতি অসন্তোষ ছিল? [মাধ্যমিক ১৯]
(ক) দয়াময় দেবতার প্রতি
(খ) কবির সংগীতের প্রতি
(গ) নিজের প্রতি
(ঘ) ধরিত্রীর প্রতি
উত্তর-(গ)

৩. 'সেই হোক তোমার সভ্যতার শেষ পুণ্যবাণী'-সভ্যতার শেষ পুণ্যবাণী- [মাধ্যমিক ১৮, আলিম ২২]
(ক) বিদ্বেষ ত্যাগ করো
(খ) ক্ষমা করো
(গ) ভালোবাসো
(ঘ) মঙ্গল করো
উত্তর-(খ)

৪. 'প্রদোষকাল ঝঞ্ঝাবাতাসে রুদ্ধশ্বাস'-'প্রদোষ' শব্দের অর্থ- [মাধ্যমিক ১৭]
(ক) সন্ধ্যা
(খ) ভোর
(গ) রাত্রি
(ঘ) দুপুর
উত্তর-(ক)

৫. 'ছিনিয়ে নিয়ে গেল তোমাকে'-কে ছিনিয়ে নিল? [আলিম ১৯, হাই মাদ্রাসা ১৭]
(ক) রুদ্র সমুদ্র
(খ) ক্রুদ্ধ সমুদ্র
(গ) কাল সমুদ্র
(ঘ) ক্ষুব্ধ সমুদ্র
উত্তর-(ক)

৬. 'পঙ্কিল হল ধূলি'-কীভাবে পঙ্কিল হল? [আলিম ১৮]
(ক) বৃষ্টির জলে ভিজে
(খ) ভীষণ হিংস্রতায়
(গ) জলে ঘাসে মিশে
(ঘ) রক্তে অশ্রুতে মিশে
উত্তর-(ঘ)

৭. আফ্রিকা বিদ্রুপ করেছিল- [আলিম ২৪]
(ক) শঙ্কাকে
(খ) ভীষণকে
(গ) আপনাকে
(ঘ) নতুন সৃষ্টিকে
উত্তর-(খ)

৮. 'নখ যাদের তীক্ষ্ণ তোমার "। [হাই মাদ্রাসা ২৩]
(ক) বাঘের চেয়ে
(খ) সিংহের চেয়ে
(গ) হায়নার চেয়ে
(ঘ) নেকড়ের চেয়ে
উত্তর-(ঘ)

৯. 'এলো ওরা লোহার হতকড়ি নিয়ে'-'ওরা হল-
(ক) আমেরিকানরা
(খ) ইউরোপীয়রা
(গ) ভারতীয়রা
(ঘ) আফ্রিকানরা
উত্তর-(খ)

১০. আফ্রিকার ক্রন্দন কেমন? [হাই মাদ্রাসা ১৮]
(ক) উগ্র
(খ) বীভৎস
(গ) আবিল
(ঘ) ভাষাহীন
উত্তর-(ঘ)

১১. নিভৃত অবকাশে আফ্রিকা চিনেছিল- [হাই মাদ্রাসা ২০]
(ক) দুর্গমের রহস্য
(গ) প্রাকৃতিক রহস্য
(খ) জল স্থল আকাশের দুর্বোধ সংকেত
(ঘ) রহস্য ও দুর্বোধ সংকেত
উত্তর-(খ)

১২. স্রষ্টা ঘন ঘন মাথা নেড়ে ছিলেন-
(ক) অসন্তোষে
(খ) অধৈর্যে
(গ) যন্ত্রণায়
(ঘ) অতৃপ্তিতে
উত্তর-(খ)

১৩. "আফ্রিকা' কবিতায় সমুদ্রকে যে বিশেষণে বিশেষায়িত করা হয়েছে-
(ক) শান্ত
(খ) রুদ্র
(গ) উগ্র
(ঘ) ভয়ঙ্কর
উত্তর-(খ)

১৪. নতুন সৃষ্টিকে বারবার বিধ্বস্ত করেছিলেন-
(ক) সাম্রাজ্যবাদীরা
(খ) রুদ্র সমুদ্রের বাহু
(গ) স্রষ্টা
(ঘ) দস্যুরা
উত্তর-(গ)

১৫. "আপনাকে উগ্র ক'রে"-নিজেকে উগ্র করেছিল-
(ক) স্রষ্টা
(খ) দয়াময় দেবতা
(গ) যুগান্তের কবি
(ঘ) আফ্রিকা
উত্তর-(ঘ)

১৬. 'মন্দিরে বাজছিল'-
(ক) ক্রন্দনধ্বনি
(খ) পূজার ঘণ্টা
(গ) শঙ্খ
(ঘ) দুন্দুভি
উত্তর-(খ)

১৭. 'শিশুরা খেলছিল'-
(ক) খেলার মাঠে
(খ) দোলনায়
(গ) মন্দিরে
(ঘ) মায়ের কোলে
উত্তর-(ঘ)

১৮. প্রদোষ কালে পশুরা বেরিয়ে এসেছিল-
(ক) আফ্রিকার জঙ্গল থেকে
(খ) খাঁচার ভেতর থেকে
(গ) গুপ্ত গহ্বর থেকে
(ঘ) দিগন্তের থেকে
উত্তর-(গ)

১৯. অশুভ ধ্বনিতে দিনের অন্তিম কাল ঘোষণা করেছিল-
(ক) ঝঞ্ঝা বাতাস
(খ) পশুরা
(গ) যুগান্তের কবি
(ঘ) দস্যুরা
উত্তর-(খ)

২০. কবির সংগীতে বেজে উঠেছিল-
(ক) প্রলয়ের ঘণ্টা
(গ) সুন্দরের আরাধনা
(খ) ঈশ্বরের বন্দনা
(ঘ) পুণ্যবাণী
উত্তর-(গ)

২১. রুদ্র সমুদ্রের বাহু আফ্রিকাকে ছিনিয়ে নিয়ে বেঁধে ফেলেছিল-
(ক) বনস্পতির নিবিড় পাহারায়
(খ) ঘন একাকিত্বে
(গ) সাম্রাজ্যবাদীদের মাঝে
(ঘ) হিংস্র প্রলাপের বন্ধনে
উত্তর-(ক)

২২. "এল ওরা"-ওরা যা নিয়ে এসেছিল-
(ক) লোহার বেড়ি
(খ) লোহার হাতকড়ি
(গ) তরবারি
(ঘ) দেবতার মূর্তি
উত্তর-(খ)

২৩. "ক্ষমা করো"- কার কাছে ক্ষমা চাওয়া হয়েছে?
(ক) স্রষ্টার
(খ) আফ্রিকার
(গ) যুগান্তের কবির
(ঘ) বুদ্র দেবের
উত্তর-(খ)

২৪. "ঘোষণা করল দিনের অন্তিমকাল"-দিনের অন্তিম কাল ঘোষণা হয়েছিল-
(ক) পুজোর ঘণ্টা বাজিয়ে
(খ) সুন্দরের আরাধনায়
(গ) ঝঞ্ঝা বাতাসে
(ঘ) অশুভ ধ্বনিতে
উত্তর-(ঘ) 

২৫. চিরচিহ্ন দিয়ে গেল-
(ক) ইতিহাসের পাতায়
(খ) মানুষের মনে
(গ) ভবিষ্যতের ভাবনায়
(ঘ) অপমানিত ইতিহাসে
উত্তর-(ঘ)

২৬. নিভৃত অবকাশে আফ্রিকা সংগ্রহ করেছিল-
(ক) দুর্গমের রহস্য
(খ) বিরূপের ছদ্মবেশ
(গ) দুর্বোধ্য সংকেত
(ঘ) দৃষ্টি অতীত জাদু
উত্তর-(ক)

২৭. আফ্রিকাকে নিবিড় পাহারায় বাঁধা হয়েছিল-
(ক) প্রহরীদের
(খ) সমুদ্রের
(গ) সাম্রাজ্যবাদীদের
(ঘ) বনস্পতির
উত্তর-(ঘ)

২৮. 'দাঁড়াও ওই মানহারা মানবীর দ্বারে'- 'মানহারা মানবী' হল-
(ক) ভারতবর্ষ
(খ) আফ্রিকা
(গ) সাম্রাজ্যবাদীরা
(ঘ) যুগান্তের কবি
উত্তর-(খ)

২৯. আফ্রিকার মন ছিল-
(ক) চেতনাতীত
(খ) কুটিল
(গ) চঞ্চল
(ঘ) দুর্বোধ্য
উত্তর-(ক)

৩০. 'আফ্রিকা' কবিতায় আদিম যুগ ছিল- [মাধ্যমিক ২৫]
(ক) অন্ধকার
(খ) অতিরিক্ত
(গ) শান্ত
(ঘ) উদ্‌ভ্রান্ত
উত্তর-(ঘ)

৩১. 'বাষ্পাকুল অরণ্য পথে'-অরণ্যপথ বাষ্পাকুল কেন?
(ক) আকস্মিক বন্যায়
(খ) প্রবল ঝড়ে
(গ) প্রদোষকালের ঝঞ্ঝায়
(ঘ) আফ্রিকার ভাষাহীন ক্রন্দনে
উত্তর-(ঘ)

৩২. 'আফ্রিকা' কবিতায় কাকে 'ক্ষমা করো' শব্দগুচ্ছ উচ্চারণ করতে বলা হয়েছে/ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে-
(ক) বিশ্বকবিকে
(গ) যুগান্তের কবিকে
(খ) আফ্রিকাকে
(ঘ) মানহারা মানবীকে
উত্তর-(গ)

৩৩. 'আফ্রিকা' কবিতায় কার তীক্ষ্ণ নখের কথা বলা হয়েছে?
(ক) শকুনের
(খ) সিংহের
(গ) নেকড়ের
(ঘ) চিতা বাঘের
উত্তর-(গ)

৩৪. যুগান্তের কবিকে কার দ্বারে দাঁড়াতে বলা হয়েছে?
(ক) সর্বহারা মানুষের
(খ) দয়াময় দেবতার
(গ) মানহারা মানবী আফ্রিকার
(ঘ) সাম্রাজ্যবাদীর
উত্তর-(গ)

৩৫. "আফ্রিকা" কবিতায় 'কাদার পিণ্ড' কেমন-
(ক) সুন্দর
(খ) ভয়ঙ্কর
(গ) শক্ত
(ঘ) বীভৎস
উত্তর-(ঘ)

SAQ [প্রশ্নমান ১]

১. 'অশুভ ধ্বনিতে ঘোষণা করল"-কারা কী ঘোষণা করল? [মাধ্যমিক ২৫]
উত্তর: গুপ্তগহ্বর থেকে বেরিয়ে আসা পশুরা অশুভ ধ্বনিতে দিনের অন্তিমকাল ঘোষণা করল।

২. 'এসো যুগান্তের কবি'- কবির ভূমিকাটি কী হবে? [মাধ্যমিক ১৭]/'এসো যুগান্তের কবি' কবি যুগান্তের কবির কাছে কিসের ডাক দিয়েছেন? [আলিম ২৪]
উত্তরঃ 'যুগান্তের কবি আসন্ন সন্ধ্যায় শেষ রশ্মিপাতে দাঁড়িয়ে মানহারা মানবীকে শোনাবে সভ্যতার শেষ পুণ্যবাণী 'ক্ষমা করো'।

৩. 'বিদ্রুপ করেছিলেন ভীষণকে'- কীভাবে 'বিদ্রূপ' করেছিল? [মাধ্যমিক ১৮]
উত্তর: আফ্রিকা প্রতিকূলতার বেশ ধারণ করে অর্থাৎ 'বিরূপের ছদ্মবেশে' প্রকৃতির ভয়ঙ্কর রূপকে বিদ্রুপ করেছিল।

৪. 'এলো ওরা লোহার হাতকড়ি নিয়ে'-'ওরা' কারা? [মাধ্যমিক ২০]
উত্তর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'আফ্রিকা' কবিতায় 'ওরা' বলতে সভ্যতার গর্বে গরিমাময় অত্যাচারী ইউরোপীয় ঔপনিবেশিকদের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে।

৫. 'সেই হোক তোমার সভ্যতার শেষ পুণ্যবাণী'- 'সভ্যতার শেষ বাণী 'টি কী? [মাধ্যমিক ২২, আলিম ২২, পর্ষদ নমুনা প্রশ্ন]
উত্তর: 'আফ্রিকা' কবিতায় ব্যবহৃত পঙক্তিতে 'সভ্যতার শেষ পুণ্যবাণী বলতে বোঝানো হয়েছে 'ক্ষমা করো'।

৬. 'বলো ক্ষমা করো'- কীসের জন্য এই ক্ষমা প্রার্থনা? [মাধ্যমিক ২৩]
উত্তর: আফ্রিকার উপর যেভাবে তথাকথিত ইউরোপীয় সভ্যশক্তিগুলি অত্যাচার করেছিল। সেই পরিপ্রেক্ষিতে কবি মানবতার উদ্বোধনের জন্য ক্ষমা প্রার্থনার কথা বলেছেন।

৭. 'কৃপণ আলোর অন্তঃপুরে'-আলোকে কৃপণ বলার কারণ কী? [মাধ্যমিক ২৪]
উত্তর: বনস্পতির নিবিড় পাহারায় ঘেরা আফ্রিকার অরণ্যভূমিতে সূর্যের আলো প্রায় ঢুকতেই পারত না। তাই সেখানে আলোকে 'কৃপণ' বলা হয়েছে।

৮. 'চিরচিহ্ন' দিয়ে গেল তোমার অপমানিত ইতিহাসে-'কারা চিরচিহ্ন দিয়ে গেল? [আলিম ২২]
উত্তর: মানুষ ধরার দল তথা সাম্রাজ্যবাদীরা অপমানের চিরচিহ্ন দিয়ে গিয়েছিল।

৯. 'এল মানুষ ধরার দল'- কাদের উদ্দেশ্যে এমন মন্তব্য করা হয়েছে? [হাই মাদ্রাসা ২৩]
উত্তর: ইউরোপীয় সাম্রাজাবাদী দেশগুলি যারা আফ্রিকাকে ক্রীতদাসে পরিণত করতে চেয়েছিল, তাদের উদ্দেশ্যে এমন মন্তব্য করা হয়েছে।

১০. 'মানহারা মানবী' কে? [আলিম নমুনা]
উত্তর: হৃতসর্বস্ব আফ্রিকাই হল মান-হারা মানবী।

১১. 'ছিনিয়ে নিয়ে গেল তোমাকে'-ছিনিয়ে নিয়ে গেল কথাটির অর্থ পরিস্ফুট করো। [আলিম ১৭]
উত্তর: মূল ভূখণ্ড থেকে আফ্রিকাকে বিচ্ছিন্ন করা বোঝাতেই 'ছিনিয়ে নিয়ে গেল' কথাটি বলা হয়েছে।

১২. 'ছিনিয়ে নিয়ে গেল তোমাকে'-কাকে ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে? [আলিম ২৩, ২৫] /'ছিনিয়ে নিয়ে গেল তোমাকে' কে, কাকে ছিনিয়ে নিয়ে গেল? [হাই মাদ্রাসা ২২, ২৪]
উত্তরঃ রুদ্র সমুদ্রের বাহু প্রাচী ধরিত্রী অর্থাৎ পৃথিবীর পূর্ব দিকের দেশগুলি থেকে আফ্রিকাকে ছিনিয়ে নিয়ে গেল।

১৩. 'হায় ছায়াবৃতা' আফ্রিকাকে 'ছায়াবৃতা' বলা হয়েছে কেন? [পর্ষদ নমুনা প্রশ্ন, হাই মাদ্রাসা ১৭, ১৯]
উত্তরঃ আফ্রিকা মহাদেশ ছিল নিবিড় অরণ্যে ঘেরা, সেখানে সূর্যের আলো পর্যন্ত প্রবেশ করতে পারত না। এ কারণেই আফ্রিকাকে ছায়াবৃতা বলা হয়েছে।

১৪. 'আজ যখন পশ্চিম দিগন্তে'-পশ্চিম দিগন্তে কী ঘটে চলেছিল? [হাই মাদ্রাসা ১৮]
উত্তরঃ পশ্চিম দিগন্ত ঝঞ্ঝা বাতাসে রুদ্ধশ্বাস হয়ে উঠেছিল এবং গুপ্ত গহ্বর থেকে পশুরা বেরিয়ে এসে দিনের অন্তিমকাল ঘোষণা করেছিল।

১৫. 'সভ্যের বর্বর লোভ' কী নগ্ন করেছিল?
উত্তরঃ 'সভ্যের বর্বর লোভ' নিজের নির্লজ্জ অমানুষতাকে নগ্ন রূপে প্রকাশ করেছিল।

১৬. 'আজ যখন পশ্চিম দিগন্তে'- পশ্চিম দিগন্তে কী ঘটেছে?
উত্তর: প্রদোষকালে পশ্চিম দিগন্তে ঝঞ্ঝা বাতাস বুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছিল।

১৭. 'গুপ্ত গহ্বর থেকে পশুরা বেরিয়ে এল'-এসে কী করল?
উত্তর: গুপ্ত গহ্বর থেকে বেরিয়ে এসে পশুরা তাদের অশুভ ধ্বনিতে দিনের অন্তিম কাল ঘোষণা করল।

১৮. 'পঙ্কিল হল ধূলি'-ধূলি কীভাবে পঙ্কিল হয়েছিল?
উত্তর: লাঞ্ছিতা আফ্রিকার রক্ত আর অশ্রুতে মিশে অরণ্য পথের ধুলো পঙ্কিল হয়েছিল।

১৯. আফ্রিকা নিভৃত অবকাশে কী কী করেছিল?
উত্তরঃ নিভৃত অবকাশে আফ্রিকা দুর্গমের রহস্য সংগ্রহ করেছিল আর চিনে নিয়েছিল জল-স্থল-আকাশের দুর্বোধ্য সংকেত।

২০. 'তোমার অপমানিত ইতিহাসে'-ইতিহাস কীভাবে অপমানিত হয়েছিল?
উত্তর: সাম্রাজ্যবাদীরা আফ্রিকার ওপর পৈশাচিক অত্যাচার চালায়। সাম্রাজ্যবাদীদের এই কৃতকর্মই আফ্রিকার ইতিহাসকে অপমানিত করেছিল।


সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন [প্রশ্নমান ৩]

১. 'তাঁর সেই অধৈর্যে ঘন-ঘন মাথা নাড়ার দিনে'- 'তাঁর' বলতে কার? সেই দিন কী হয়েছিল? অথবা 'ছিনিয়ে নিয়ে গেল তোমাকে'-কে, কাকে কীভাবে ছিনিয়ে নিয়ে গেল? 
অথবা 
আফ্রিকার জন্ম বৃত্তান্তটি লেখো। 
অথবা 
'বাঁধলে তোমাকে বনস্পতির নিবিড় পাহারায়'-তোমাকে' বলতে কাকে? তাকে কীভাবে বনস্পতির পাহারায় আবদ্ধ করা হয়েছিল? অথবা 'নতুন সৃষ্টিকে বারবার করছিলেন বিধ্বস্ত'-কে, কেন নিজের সৃষ্টিকে বিধ্বস্ত করেছিলেন?

উত্তরঃ উৎস: বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত 'আফ্রিকা' কবিতা থেকে প্রদত্ত অংশটি নেওয়া হয়েছে।
প্রশ্নোদ্ভূত অংশে 'তাঁর' বলতে স্রষ্টার কথা বলা হয়েছে।
বহুকাল পূর্বে স্রষ্টা যখন সৃষ্টিকার্যে রত ছিলেন, সেই আদিম উদ্ভ্রান্ত কালখণ্ডে নিজের সৃষ্টিজনিত অতৃপ্তির কারণে তিনি বারবার সৃষ্টিকর্মকে বিধ্বস্ত করে নিখুঁততর করতে চেয়েছিলেন। সেই দিন রুদ্র সমুদ্রের বাহু প্রাচী ধরিত্রীর বুকের থেকে আফ্রিকাকে বিচ্ছিন্ন করে নিয়ে যায় বনস্পতির নিবিড় পাহারায়। সে পাহারা ছিল নিশ্ছিদ্র আর অভেদ্য। সূর্যালোক পর্যন্ত সেখানে প্রবেশ করতে পারত না। তাই সূর্যরশ্মি বিহীন আফ্রিকার অন্দরমহল ছিল 'কৃপণ আলোর অন্তঃপুর।'

২. 'দাঁড়াও ওই মানহারা মানবীর দ্বারে'- 'মানহারা মানবী' কে? তার দ্বারে কেন দাঁড়াতে বলা হয়েছে? [শিখন সেতু] ১+২ 
অথবা 
"বলো ক্ষমা করো" কার কাছে কেন ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে?

উত্তরঃ উৎস: বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত 'আফ্রিকা' কবিতা থেকে প্রদত্ত অংশটি নেওয়া হয়েছে।
সাম্রাজ্যবাদী শক্তির নির্লজ্জ অত্যাচারে আফ্রিকার সম্মান ভুলুণ্ঠিত, তাই কবি 'মানহারা মানবী' বলতে হৃতসর্বস্ব আফ্রিকাকে বুঝিয়েছেন।

 সভ্যতাদর্পী বর্বর সাম্রাজ্যবাদীদের পাশবিক অত্যাচারে আফ্রিকা চূড়ান্ত অপমানিতা, লাঞ্ছিতা ও রক্তাক্ত। তার সম্মান ভুলুণ্ঠিত। সৃষ্টির এই কালিমা মোচনের দায় সৃষ্টিকর্তারই। তাই কবি যুগান্তের কবিকে আহ্বান করেছেন 'মানহারা মানবী' আফ্রিকার দ্বারপ্রান্তে নতমস্তকে দাঁড়িয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করার জন্য।

৩. 'এসো যুগান্তের কবি'- 'যুগান্তের কবি' কে? কোন্ পরিস্থিতিতে তাকে আহ্বান করা হয়েছে? [আলিম ২০২০] 
অথবা 
'সেই হোক তোমার সভ্যতার শেষ পুণ্যবাণী'-পুণ্যবাণীটি কী? কোন্ পরিস্থিতিতে তা অনিবার্য?

উত্তরঃ উৎস: বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত 'আফ্রিকা' কবিতা থেকে প্রদত্ত অংশটি নেওয়া হয়েছে।
যুগকে অতিক্রম করতে পারেন যিনি, তিনিই হলেন যুগান্তের কবি। অর্থাৎ, আলোচ্য অংশে 'যুগান্তের কবি' বলতে স্রষ্টা বা সৃষ্টিকর্তাকে বোঝানো হয়েছে।

সভ্যতাদর্পী বর্বর সাম্রাজ্যবাদীদের পাশবিক অত্যাচারে আফ্রিকা চূড়ান্ত অপমানিত, লাঞ্ছিত ও রক্তাক্ত। তার সম্মান ভূলুণ্ঠিত। সৃষ্টির এই কালিমা মোচনের দায় সৃষ্টিকর্তারই। তাই কবি 'যুগান্তের কবিকে' আহ্বান করেছেন 'মানহারা মানবী' আফ্রিকার দ্বারপ্রান্তে নতমস্তকে দাঁড়িয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করার জন্য।

নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনার মধ্য দিয়েই বিপন্নতার ঝোড়ো বাতাসে রুদ্ধশ্বাস পৃথিবীকে রক্ষা করা সম্ভব। কবি আশাবাদী যে, হিংস্র প্রলাপে ভরা এই পৃথিবীতে 'ক্ষমা করো' শব্দগুচ্ছের উচ্চারণই হবে সভ্যতার শেষ পুণ্যবাণী।

৪. "এল ওরা লোহার হাতকড়ি নিয়ে'- 'ওরা' কারা? ওরা আসার পর কী হয়েছিল?
অথবা 
"এল মানুষ ধরার দল"-'মানুষ ধরার দল' কারা? তারা আসার পর কী হয়েছিল? অথবা 'সভ্যের বর্বর লোভ নগ্ন করল আপন নির্লজ্জ অমানুষতা'-সভ্যের বর্বর লোভ কী? তা কীভাবে নির্লজ্জ অমানুষতাকে নগ্ন করেছিল? 
অথবা 
'পঙ্কিল হল ধূলি তোমার রক্তে অশ্রুতে মিশে'-'তোমার' বলতে কার? তার রক্ত অশ্রু কেন ঝরেছিল? ১+২

উত্তরঃ উৎস: বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত 'আফ্রিকা' কবিতা থেকে প্রদত্ত অংশটি নেওয়া হয়েছে।
প্রশ্নোদ্ভূত অংশে 'ওরা' বলতে তথাকথিত সভ্য সাম্রাজ্যলোভী; 'মানুষধরার দলের' কথা বলা হয়েছে।
সাম্রাজ্যবাদী শক্তি আফ্রিকা মহাদেশে সম্পদের লোভে ভিড় করেছিল। তারা নির্মম শোষণের দ্বারা আফ্রিকাকে করায়ত্ত করার নির্লজ্জ প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হয়েছিল। ফলস্বরূপ আফ্রিকাকে হতে হয়েছিল-মানহারা, লাঞ্ছিতা, অপমানিতা ও লুণ্ঠিতা।

প্রদত্ত মন্তব্যের মধ্য দিয়ে এই সাম্রাজ্যবাদী শক্তির নিষ্ঠুরতা ও দাস প্রথার নির্মমতার ইঙ্গিত প্রস্ফুটিত হয়েছে।

৫. 'সমুদ্রপারে সেই মুহূর্তেই তাদের পাড়ায় পাড়ায়'-কাদের পাড়ার কথা বলা হয়েছে? সেখানে কী কী হয়েছিল?

উত্তরঃ উৎস: বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত 'আফ্রিকা' কবিতা থেকে প্রদত্ত অংশটি নেওয়া হয়েছে।
প্রশ্নোদ্ভূত অংশে 'মানুষ ধরার দল' তথা সাম্রাজ্যবাদীদের পাড়ার কথা বলা হয়েছে।
যখন সাম্রাজ্যবাদীদের দল আফ্রিকার ওপর বর্বরোচিত অত্যাচার চালাচ্ছে, ঠিক তখনই সমুদ্রের অপর প্রান্তে সাম্রাজ্যবাদীদের পাড়ায় বিরাজ করছে অদ্ভুত বৈপরীত্যময় চিত্র। সেখানে- (ক) পরম কল্যাণময় দেবতার উপাসনায় মন্দিরে-মন্দিরে পূজার ঘণ্টা বাজছে। (খ) নিষ্পাপ শিশুরা নিশ্চিন্ত মনে মায়ের কোলে খেলছে। (গ) কবির সংগীতে ধ্বনিত হচ্ছে সুন্দরের আরাধনা।


Read More 👇👇

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ

Hi, Please Do not Spam in Comments.

WhatsApp Join WhatsApp Telegram Join Telegram