Nepal Youth Uprising: Gen Z Revolts Against Democratic Failure | নেপালের জেন-জি আন্দোলন | গণতন্ত্রের ব্যর্থতার বিরুদ্ধে তরুণদের বিদ্রোহ

0

নেপালের তরুণ বিদ্রোহ: গণতন্ত্রের ছাই থেকে জেগে ওঠা এক প্রজন্ম

Nepal Gen Z protest in Kathmandu against social media ban and political corruption


তারিখ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | স্থান: কাঠমান্ডু, নেপাল


নেপাল এখন আর শুধু হিমালয়ের দেশ নয়—এটি হয়ে উঠেছে এক তরুণ প্রজন্মের জেগে ওঠার প্রতীক। গত কয়েকদিনে যা ঘটেছে, তা শুধু রাজনৈতিক অস্থিরতা নয়, বরং একটি গভীর সামাজিক বিপ্লবের ইঙ্গিত। জেনারেশন জেড, যারা এতদিন প্রযুক্তির পর্দায় ছিল, তারা এখন রাজপথে। তারা প্রশ্ন তুলছে, তারা দাবি করছে, তারা জ্বলে উঠেছে।


📵 সোশ্যাল মিডিয়া নিষেধাজ্ঞা: আগুনের প্রথম স্ফুলিঙ্গ

৪ সেপ্টেম্বর, নেপাল সরকার হঠাৎ করে ২৬টি জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম বন্ধ করে দেয়। সরকার বলেছে, এটি “জাতীয় নিরাপত্তা” রক্ষার জন্য। কিন্তু তরুণদের কাছে এটি ছিল মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত। Youtube,Whatsapp, Instagram, Facebook, Reddit etc. apps —সব বন্ধ।

এই সিদ্ধান্তের পরপরই হাজার হাজার তরুণ রাস্তায় নেমে আসে। তারা শুধু ডিজিটাল স্বাধীনতা নয়, রাজনৈতিক জবাবদিহিতা, কর্মসংস্থান, এবং দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন চায়।


🔥 আন্দোলনের বিস্তার: রাজপথে রক্ত, ভবিষ্যতে প্রশ্ন

৯ সেপ্টেম্বর, আন্দোলন চরমে পৌঁছায়। সংসদ ভবনে অগ্নিসংযোগ, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি পুড়েছে, মন্ত্রীদের প্রকাশ্যে মারধর—সবই ঘটেছে জনরোষে।

  • ৩০ জনের বেশি নিহত
  • ১০০০+ আহত
  • সেনাবাহিনী মোতায়েন, কারফিউ জারি

সরকার বলছে, “বিদ্রোহ হাইজ্যাক হয়েছে,” কিন্তু আন্দোলনকারীরা বলছে, “আমরা আর চুপ থাকবো না।”

“আমরা শুধু শান্তি চাই, কিন্তু আমাদের কণ্ঠরোধ করা হয়েছে”—একজন আন্দোলনকারী তরুণী।

 

📜 গণতন্ত্রের প্রতিশ্রুতি: কোথায় হারাল সেই স্বপ্ন?

২০০৮ সালে নেপাল রাজতন্ত্র বিলোপ করে গণতন্ত্রের পথে যাত্রা শুরু করে। সংবিধান ছিল প্রগতিশীল, অন্তর্ভুক্তিমূলক। কিন্তু ১৬ বছরে ১৩টি সরকার, দলীয় কোন্দল, ক্ষমতার লোভ—সব মিলিয়ে জনগণের স্বপ্ন আজ ভস্মীভূত।

তরুণরা বলছে, “আমরা সেই গণতন্ত্র চাই, যা আমাদের কথা শুনবে, আমাদের ভবিষ্যৎ গড়বে।”


🌐 আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া: প্রতিবেশীরা কী বলছে?

ভারত, চীন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন—সবাই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। কিন্তু কেউই সরাসরি হস্তক্ষেপ করছে না। নেপালের অভ্যন্তরীণ সংকট এখন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে।


👥 তরুণদের দাবি: শুধু প্রযুক্তি নয়, ন্যায্যতা চাই

তরুণরা বলছে, “আমরা শুধু TikTok চাই না, আমরা শিক্ষা, চাকরি, স্বাস্থ্যসেবা চাই।” তারা বলছে, “আমরা আর নেতাদের প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাস করি না, আমরা বাস্তব পরিবর্তন চাই।”

এই আন্দোলন প্রমাণ করেছে, তরুণদের কণ্ঠরোধ করে উন্নয়ন সম্ভব নয়


🌱 ভবিষ্যতের প্রশ্ন: এই আগুন কি আলোর জন্ম দেবে?

নেপালের এই আন্দোলন শুধু তাদের দেশের জন্য নয়, পুরো দক্ষিণ এশিয়ার গণতন্ত্রের জন্য এক সতর্কবার্তা। তরুণদের কণ্ঠরোধ করে উন্নয়ন সম্ভব নয়। পরিবর্তন চাইলে, তাদের স্বপ্নকে সম্মান দিতে হবে।

এই আগুন হয়তো ছাই হয়ে যাবে, কিন্তু তার তাপ থাকবে ইতিহাসে।


বিষয়: আন্তর্জাতিক রাজনীতি, তরুণদের আন্দোলন, গণতন্ত্র

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ