একুশের কবিতা প্রশ্ন উত্তর 2025 | Ekusher Kobita Question Answer 2025 | Class Vii

একুশের কবিতা প্রশ্ন উত্তর 2025 |Ekusher Kobita Question Answer 2025 |Class Vii,একুশের কবিতা- আশরাফ সিদ্দিকী, প্রশ্ন উত্তর সপ্তম শ্রেণি | BongoShiksha
একুশের কবিতা প্রশ্ন উত্তর 2025 | Ekusher Kobita Question Answer 2025 | Class Vii

১/ এই কবিতায় কিছু চন্দ্রবিন্দু-যুক্ত শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে। 'কাঁপলো' এবং 'দাঁড়িয়েছেন'। প্রসঙ্গত দুটি শব্দই ক্রিয়া। চন্দ্রবিন্দু দিয়ে শুরু এমন পাঁচটি অন্য ক্রিয়া ব্যবহার করে পাঁচটি বাক্য লেখো। একটি করে দেওয়া হলো, 'হাঁটা'।
উত্তর :- হাঁটা - ট্রেন থেকে নেমে শুরু হল আমাদের হাঁটা।
কাঁদলো - মারের ভয়ে ছেলেটি কাঁদলো।
হাঁসালো - সে কৌতুক করে সকলকে হাঁসালো।
খোঁচালো - রাতুল লাঠি দিয়ে সাপটিকে খোঁচালো।
বাঁচালো - গোলরক্ষক কোনোমতে গোলটা বাঁচালো।
ঝাঁপালো - বন্ধুদের দেখে অনিক ও নদীর জলে ঝাঁপালো।
২/ গুনগুন: মৌমাছি যেভাবে ডানার একটানা আওয়াজ করে, তাকে গুনগুন বলে। বাস্তব ধ্বনির অনুকরণে তৈরি হওয়া এই ধরনের শব্দকে বলে অনুকারী বা ধ্বন্যাত্মক শব্দ। নীচে কয়েকটি ধ্বন্যাত্মক শব্দ শিখে নিতে পারবে।
একুশের কবিতা প্রশ্ন উত্তর 2025 | Ekusher Kobita Question Answer 2025 | Class Vii

উত্তর
পাখা বন বন করে ঘুরছে।
মাছিটা ভন ভন করে উড়ছিল।
হাওয়া সন সন করে বইছে।
নদী চলছে কল কল করে।
কাচের বাসনগুলো ঝন ঝন করে ভেঙ্গে গেল।
বাজ পড়ল কড় কড় শব্দ করে।
পটকা ফাটছিল দুম দাম করে।
বৃষ্টি পড়ছিল ঝর ঝর করে।
কাগজটা ফর ফর করে ছিঁড়ে গেল।
কয়েকটা তাল পড়ল ধুপ ধাপ করে।
৩. 'আমার মায়ের গাওয়া কত না গানের কলি'- এখানে 'মায়ের গাওয়া' শব্দবন্ধটি একটি বিশেষণের কাজ করছে। এরকম আরো অন্তত পাঁচটি তৈরি করো।
উত্তর :- দিদির আঁকা ছবি, দিদার বলা গল্প, ভাইয়ের পাওয়া খেলনা, বোনের পড়া কবিতা, বাবার লেখা বই।
৪/ নীচের বিশেষ্যগুলিকে বিশেষণে ও বিশেষণগুলিকে বিশেষ্যে পরিবর্তন করে বাক্য রচনা করো:প্রশ্ন :- সুর, দেশ, মাঠ, বন, মিষ্টি, মুখর, ইতিহাস, ফুল।
উত্তর :- সুর - সুরেলা : অতসী সুরেলা গলায় গান গেয়ে সকলকে মুগ্ধ করল।
দেশ - দেশি : দেশি জিনিসের কদর দিন দিন কমে যাচ্ছে।
মাঠ - মেঠো : মাটির গন্ধ মেশানো মেঠো বাতাসে মন ভরে যায়।
বন - বুনো : যেমন বুনো ওল তেমন বাঘা তেতুল।
মিষ্টি - মিষ্টত্ব : পায়েলের গাওয়া গানগুলির মিষ্টত্ব আমাদের মন ভরিয়ে দিল।
মুখর - মুখরতা : মুখরতাকে অনেকে বাচালতা বলে মনে করে।
ইতিহাস - ঐতিহাসিক : পলাশির যুদ্ধ একটি ঐতিহাসিক ঘটনা।
ফুল - ফুলেল : অনিক ফুলেল তেল পছন্দ করে।
৫/ 'রব' শব্দটিকে একবার বিশেষ্য এবং একবার ক্রিয়া হিসেবে দুটি আলাদা বাক্যে ব্যবহার করে দেখাও।
উত্তর :- রব (বিশেষ্য) - রাতের বেলা ঝিল্লির রব শোনা যায়।
রব (ক্রিয়া) - আমি রব সকলের আগে।
৬/ 'কলি', 'সুর', 'পাল'- শব্দগুলিকে দুটি করে ভিন্ন অর্থে ব্যবহার করে আলাদা বাক্যে লেখো।
উত্তর :-
কলি (কুঁড়ি) - ফুলগাছে ডালে ডালে কুঁড়ি এসেছে।
কলি (চুনকাম) – ঘরেতে কলি ফেরানো দরকার।

সুর (দেবতা) - সুর ও অসুরের মধ্যে বেঁধেছে ভয়ংকর যুদ্ধ।
সুর (গানের সুর) - দিশা মধুর সুরে গান গাইছে।

পাল (দল) - ভেড়ার পাল চলেছে রাস্তা দিয়ে।
পাল (নৌকা) - পাল তুলে দিয়ে নৌকা চলেছে।
৭/ 'মুখ' শব্দটিকে পাঁচটি আলাদা অর্থে ব্যবহার করে পাঁচটি আলাদা বাক্য লেখো।
উত্তর :- মুখ (অভিমান) - রঘু খেলনা না পেয়ে মুখভার করে বসে আছে।
মুখ (ভর্ৎসনা করা) - কাজের লোকটি মালিকের কাছে মুখ ঝামটা খায়।
মুখ (গৌরবান্বিত করা) - তনয় ভালো রেজাল্ট করে বাবা মায়ের মুখ উজ্জ্বল করেছে।
মুখ (মুখমন্ডল) - রাতুল চোখ মুখ ধুয়ে পড়তে বসল।
মুখ (প্রবেশপথ) - গুহা মুখে বিশাল বড়ো পাথর।
৮/ একটি - দুটি বাক্যে উত্তর দেও : 
৮.১/ "পাখি সব করে রব"- উদ্ধৃতাংশটি কার লেখা কোন কবিতার অংশ? কবিতাটি তাঁর লেখা কোন বইতে রয়েছে?
উত্তর:- "পাখি সব করে রব" উদ্ধৃতাংশটি মদনমোহন তর্কালঙ্কারের লেখা 'প্রভাতবর্ণন' কবিতার অংশ। কবিতাটি তাঁর লেখা 'শিশুশিক্ষা' (প্রথম ভাগ) -এ রয়েছে।
৮.২/ এই পঙক্তিটি পাঠের সুরকে 'মন্ত্রের মতো' বলা হয়েছে কেন?
উত্তর:- এই পঙক্তিটি পাঠে মনের মধ্যে মন্ত্র পাঠের মতোই স্বর্গীয় অনুভূতির সৃষ্টি হয়। তাই একে মন্ত্রের মতো বলা হয়েছে।
৮.৩/ এই সুরকে কেন 'স্মৃতির মধুভাণ্ডার' বলা হয়েছে? তা কবির মনে কোন স্মৃতি জাগিয়ে তোলে?
উত্তর:- এই সুরকে 'স্মৃতির মধু ভান্ডার' বলা হয়েছে কারণ, এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে শৈশবকালে পাঠশালায় কবিতাটি পাঠ করার স্মৃতি। এই স্মৃতি সর্বদাই মধুর এবং অমলিন। এই শৈশব স্মৃতি কবির মনে বাংলার এক সুন্দর ছবি জাগিয়ে
বাংলার দেশ-মাঠ-বন-নদী, অজস্র লোকগান আর এসবের ভিতর দিয়ে বাংলা মায়ের মুখ কবির মনের ভেতর আজও স্মৃতি হয়ে জেগে আছে। তুলেছে।
৮.৪/ "সেই আমার দেশ-মাঠ-বন-নদী"- দুই বঙ্গ মিলিয়ে তিনটি অরণ্য ও পাঁচটি নদীর নাম লেখো।
উত্তর :- তিনটি অরণ্য:- সুন্দরবন, গোরুমারা অভয়ারণ্য, (পশ্চিমবঙ্গ)।পার্বত্য চট্টগ্রামের ভোেলা ও মধুমতি। (বাংলাদেশ) পাঁচটি নদী:- পশ্চিমবঙ্গের গঙ্গা, দামোদর, তিস্তা। বাংলাদেশের পদ্মা, মেঘনা।
৮.৫/ টীকা লেখো:  
প্রশ্ন :- জারি, সারি, ভাটিয়ালি, মুর্শিদি, বিন্নি ধান, কথকতা, রূপকথা।
উত্তর :- জারি - জারি হল বাংলার মুসলমানি পল্লীসংগীত বিশেষ। ফার্সি জারি শব্দের অর্থ শোক। মুহাররম মাসে কারবালার বিয়োগান্তক কাহিনীর স্মরণে মূলত এই গানের উদ্ভব। ১৭শ শতক থেকে বাংলায় এই গানের ধারা শুরু হয়।
সারি - সারি গান আবহমান বাংলার লোকসঙ্গীত। শ্রমিক ও কর্মজীবীদের মাঝে বিশেষ জনপ্রিয় হওয়ায় সারি গান 'শ্রম-সঙ্গীত' বা 'কর্ম-সঙ্গীত' নামেও পরিচিত। ছাদ পেটানোর সময় এ গান গাওয়া হয় বলে এঁকে ছাদ পেটানোর গান ও বলা হয়। সারি গান নৌকার মাঝি-মাল্লাদের মধ্যেই বেশি প্রচলিত।
ভাটিয়ালি - ভাটিয়ালী বাংলাদেশ এবং ভারতের ভাটি অঞ্চলের জনপ্রিয় গান। বাংলাদেশে বিশেষকরে নদ-নদী পূর্ণ ময়মনসিংহ অঞ্চলের ব্রহ্মপুত্র নদের উত্তর-পূর্ব দিকের অঞ্চলগুলোতে ভাটিয়ালী গানের মূল সৃষ্টি, চর্চাস্থল এবং সেখানেই এই লোকসঙ্গীতের ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। বাউলদের মতে ভাটিয়ালী গান হলো তাদের প্রকৃতিতত্ত্ব ভাগের গান। ভাটিয়ালী গানের মূল বৈশিষ্টা হলো এ গানগুলো রচিত হয় মূলত মাঝি, নৌকা, দাড়, গুন ইত্যাদি বিষয়ে। সাথে থাকে গ্রামীণ জীবন, গ্রামীণ নারীর প্রেমপ্রীতি, ভালবাসা, বিরহ, আকুলতা ইত্যাদির সম্মিলন।
মুর্শিদি - মুর্শিদি হল পিরের গান। মুসলমান সাধু ও মহাপুরুষকে পির বলা হয়। যথা, 'সত্যপির'। এটি বাস্তববিষয়ক একধরনের দেহতত্ত্বের গানও বটে।
বিন্নিধান - বিন্নিধান একধরনের আউশ ধান। নীচু জলা জমিতে এর চাষ। বিশেষত, পূর্ববঙ্গে এই ধানের খই খুব ভালো হয়।
কথকতা - রামায়ণ, মহাভারত, পুরাণ ইত্যাদি গ্রন্থের পাঠ ব্যাখ্যা করার যে কাজ তাকে বলা হয় কথকতা। এই কথকতার কাজটি যিনি করেন, তাঁকে বলে, 'কথক' বা 'কথকঠাকুর'।
রূপকথা - ছেলেভোলানো অবাস্তব কল্পনামূলক কাহিনিকে বলা হয় 'রূপকথা'। এই কাহিনিতে রাক্ষস-রাক্ষসীরা থাকে। থাকে ব্যাঙ্গমা-ব্যাঙ্গমী পাখি। আর থাকে রাজকুমারী এবং অবশ্যই রাজকুমার। এরা কেউই বাস্তবে নয়, সবাই কাল্পনিক।
৯/ ব্যাখ্যা করো :
৯.১/ 'কয়েকটি পাখি... পড়ে গেল মাটিতে'।
উত্তর:- আশরাফ সিদ্দিকী রচিত 'একুশের কবিতা' নামক কবিতা থেকে উদ্ধৃতিটি নেওয়া হয়েছে। উর্দুকে পূর্ব পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে চাপিয়ে দেওয়ার চক্রান্তের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন বাংলাদেশের মানুষ। তাদের প্রতিবাদ আন্দোলনে পাক সেনার গুলিতে মারা যায় সালাম, বরকত, রফিক প্রমুখ তরুণ। সেই সব ভাষা শহিদদের কবি গুলিবিদ্ধ পাখির সঙ্গে তুলনা করেছেন।
৯.২/ 'সেই শোকে কালবৈশাখীর ঝড় উঠলো আকাশে।'
উত্তর:- আশরাফ সিদ্দিকী রচিত 'একুশের কবিতা' নামক কবিতা থেকে উদ্ধৃতিটি নেওয়া হয়েছে।
ভাষার অধিকার নিয়ে আন্দোলনকারীদের উপর পাক সেনাদের অমানবিক নির্যাতনে বাংলাদেশের মানুষেরা ক্ষেপে উঠল। আরম্ভ হল দেশব্যাপী প্রতিরোধ-আন্দোলন। সেই মরণপণ সংগ্রামকেই কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
৯.৩/ 'কথায় কথায় কথকতা কতো রূপকথা'।
উত্তর:- আশরাফ সিদ্দিকী রচিত 'একুশের কবিতা' নামক কবিতা থেকে উদ্ধৃতিটি নেওয়া হয়েছে। বাঙালি জীবনের পরিচয় কথকতা, রূপকথা ইত্যাদির মধ্যে দিয়ে প্রকাশ পায়।
এগুলি বাঙালির সংস্কৃতির নিজস্ব জিনিস। বাংলা ভাষা ও বাঙালীর বিজয়ের মধ্য দিয়ে এগুলির পুনঃপ্রতিষ্ঠাই লক্ষ করেছেন কবি।
৯.৪/ 'তাই তো আজ দ্যাখো এ মিছিলে এসে দাঁড়িয়েছেন আমার মা।'
উত্তর:- আশরাফ সিদ্দিকী রচিত 'একুশের কবিতা' নামক কবিতা থেকে উদ্ধৃতিটি নেওয়া হয়েছে। ভাষা আন্দোলনে বিজয়ী মানুষের মিছিলের মাঝে আলোর দীপ্তি নিয়ে দেখা দেন 'দেশমাতৃকা'। দেশমাতার উপস্থিতি আন্দোলনের উগ্রতাকে কমিয়ে বিজয়ের আনন্দকে আবেগময় করে তোলে।
১০/ আট-দশটি বাক্যে উত্তর দাও :
১০.১/ এই কবিতায় 'পাখি'- শব্দের ব্যবহার কতখানি সার্থক হয়েছে তা কবিতার বিভিন্ন পঙ্ক্তি উদ্ধৃত করে আলোচনা করো।
উত্তর:- আশরাফ সিদ্দিকী রচিত 'একুশের কবিতা' পাঠ্যাংশে 'পাখি'র রূপকে কবি ভাষা আন্দোলনকারীদের বোঝাতে চেয়েছেন। পাখির কলকাকলি যেমন করে হঠাৎ গুলির আঘাতে থেমে যায়, একে একে পাখিরা ঝরে পড়ে মাটিতে, সেভাবেই অতর্কিত খানসেনাদের গুলিতে বাঙালি যুবকরা প্রাণ দেয়, তাদের দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। "কয়েকটি পাখির গান শেষ না হতেই তারা ঝরে পড়ে গেল মাটিতে" - এই ছবিটি নির্যাতন ও মৃত্যুরই ছবি।
আবার কবিতার শেষ অংশে "তাই তো সহস্র পাখির কলতানে দিগন্ত মুখর" বলতে কবি আসলে ভাষা আন্দোলনকারীদের জয়ের ফলাফলকে প্রকাশ করেছেন। মাতৃভাষাকে রক্ষার লড়াইয়ে ভাষা আন্দোলনকারীরা সফল তাই অজস্র বাঙালি আজ সগর্বে বাংলা ভাষায় মনের ভাব প্রকাশ করে। এ যেন পাখির কলতানের মতোই মধুর ও সুন্দর। তাই বলা যায়, আলোচ্য কবিতায় পাখি শব্দটির ব্যবহার যথার্থ ও সার্থক।
১০.২/ কবিতাটির নামকরণের সার্থকতা বিচার করো।
উত্তর:- কবি আশরাফ সিদ্দিকী রচিত 'একুশের কবিতা'য় ইতিহাসের এক বিশেষ পরিবর্তন ফুটে উঠেছে। ১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি বাংলার ইতিহাসে চিরস্মরণীয় দিন। মাতৃভাষাকে ভালোবাসতে গিয়ে এবং তাকে নিজেদের দেশের রাষ্ট্রীয় ভাষা করতে গিয়ে 'শহিদ' হওয়ার মধ্য দিয়ে সে সংগ্রামের শুরু। খান সেনাদের সঙ্গে প্রবল সংগ্রাম ও শেষে দেশের স্বাধীনতা প্রাপ্তির মধ্যে দিয়ে সেই সংগ্রামের শেষ। বাংলাদেশের মানুষদের সেই বৃহত্তর ইতিহাস এই কবিতায় ধরা পড়েছে। কবি আশরাফ সিদ্দিকীর আলোচ্য কবিতাটির নামকরণ তাই যথার্থ ও সার্থক।
১৩/ " শুধু মাতৃভাষার প্রতি শ্রদ্ধা ও দায়বদ্ধতার প্রকাশ নয়, এই কবিতায় রয়েছে আবহমানের ও অমরতার প্রতি বিশ্বাস”- পাঠ্য কবিতাটি অবলম্বনে উপরের উদ্ধৃতিটি আলোচনা করো।
উত্তর:- আশরাফ সিদ্দিকী রচিত 'একুশের কবিতা' নামক পাঠ্যাংশে মাতৃভাষার প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশ পেয়েছে। কিন্তু এর সঙ্গে কবি দেশের আবহমান ঐতিহ্যকেও তুলে ধরতে চেয়েছেন। এখানে রয়েছে কথকতার উল্লেখ, রূপকথা, রয়েছে দেশের জারি, সারি, ভাটিয়ালি ও মুর্শিদি গানের কথাও। এমনকি বিন্নি ধানের কথাও বলতে ভোলেননি কবি। প্রভাতে ছেলেরা পড়তে বসেছে। রাখাল মাঠে চলেছে গরুর পাল নিয়ে। এসব প্রাত্যহিক গ্রামবাংলার ছবিও রয়েছে। এইভাবে কবি তাঁর 'একুশের কবিতা'য় আবহমান কালের বাংলাকে তুলে ধরেছেন। আর তার মধ্যেই প্রকাশ পেয়েছে বাংলা ভাষা ও বাংলা মায়ের প্রতি ভালোবাসা।

Credit by: RS Bengali Classroom YT Channel

Posted by: বঙ্গশিক্ষা.ইন টিম


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Main Tags

© BongoShiksha.in. All rights reserved. Premium By Raushan Design